মানসিক অসুস্থতা বিশ্বব্যাপী লক্ষ লক্ষ মানুষের একটি চলমান সমস্যা issue হতাশা, উদ্বেগ এবং আবেশ-বাধ্যতামূলক ব্যাধি সাধারণত আমাদের সমাজের মধ্যে অসুস্থতা নির্ণয় করা হয়।
মানসিক স্বাস্থ্যের উপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাবগুলি যথাযথভাবে ডকুমেন্টেড থাকলেও এমন কিছু উপায় রয়েছে যেগুলি সামাজিক মিডিয়া আপনার মানসিক স্বাস্থ্যের সাথে সহায়তা করতে পারে। আর ফেসবুক সর্বাধিকের চেয়ে বেশি কিছু করছে।
আপনার যদি কোনও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে তবে ফেসবুক আপনাকে যেভাবে সহায়তা করতে পারে তার কয়েকটি উপায় এখানে রইল।
1. ফেসবুক ট্রিগারিং চিত্রগুলি নিষিদ্ধ করেছে
এটা কোনও গোপন বিষয় নয় যে মন খারাপ করা চিত্র এবং পোস্টগুলির সংস্পর্শে আসা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে। দুর্ভাগ্যক্রমে, আমরা প্রতিদিন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি ও পোস্টের ঝামেলা প্রকাশের মুখোমুখি হয়েছি, তবে ফেসবুক এই সমস্যাটি সমাধানের জন্য কাজ করছে।
২০১৩ সাল থেকে, ফেসবুক চিত্র, ভিডিও এবং আত্মহত্যা সম্পর্কিত পোস্টগুলি এবং অন্যান্য বিষয়গুলি সনাক্ত করতে এবং নিষেধাজ্ঞার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধি ব্যবহার করছে যা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য ট্রিগার বা বিষাক্ত হিসাবে বিবেচিত হতে পারে।
এই পোস্টগুলি দেখার আগে আমাদের মুছে ফেলার মাধ্যমে, সংস্থাটি আমাদের পোস্টগুলি দেখা থেকে রক্ষা করছে যা আমাদের কষ্ট দিতে পারে।
এছাড়াও, ভুলে যাবেন না যে আপনারও পোস্টের উপরের-ডান কোণে তিনটি বিন্দুতে ক্লিক করে এবং "সমর্থন সন্ধান করুন বা পোস্টের প্রতিবেদন পোস্ট করুন" নির্বাচন করে ফেসবুকে কোনও ঝামেলা পোষ্টের প্রতিবেদন করার ক্ষমতা রয়েছে।
২. ফেসবুক মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য সহায়তা গ্রুপ সরবরাহ করে
আপনার নিজের সম্প্রদায়গুলি তৈরি করার জন্য ফেসবুকের সবসময় একটি বৈশিষ্ট্য ছিল। ফেসবুকে বিভিন্ন চিকিত্সা রোগে আক্রান্তদের জন্য হাজার হাজার গ্রুপ রয়েছে, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা সমর্থনকারী দল থেকে শুরু করে ক্যান্সার থেকে বেঁচে যাওয়া সম্প্রদায়ের লোকেরা। তবে, ফেসবুকের মধ্যে সর্বাধিক বিশিষ্ট চিকিৎসা সম্প্রদায়গুলি হ'ল মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা গ্রুপ।
আপনি এই গোষ্ঠীগুলিতে যোগদান করতে পারেন এবং সারা বিশ্বের অন্যান্য ব্যবহারকারীদের সাথে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন যারা মানসিক অসুস্থতায় ভুগছেন। এটি কমরেডি, ক্যান্ডর এবং সমর্থনের পরিবেশকে উত্সাহ দেয় যেখানে গ্রুপের সদস্যরা তাদের সমস্যার মাধ্যমে একে অপরকে সহায়তা করতে পারে।
কীভাবে ফেসবুকে একটি সমর্থন গ্রুপে যোগদান করবেন:
- ফেসবুক খুলুন এবং আপনার নিউজফিডে যান।
- স্ক্রিনের শীর্ষে গ্রুপগুলি নির্বাচন করুন।
- খালি অনুসন্ধান বারে ক্লিক করুন এবং আপনি যে ধরণের গ্রুপে যোগ দিতে চান তার সন্ধান করুন। তারপরে অনুসন্ধান ক্লিক করুন বা এন্টার টিপুন ।
- আপনি যখন গোষ্ঠীটি সন্ধান করতে চান তখন আপনি "+ যোগ দিন গোষ্ঠী" তে যোগ দিতে চান এবং কোনও পূর্বশর্ত প্রশ্নের উত্তর দিন।
- আপনার গ্রহণযোগ্যতার বিজ্ঞপ্তির জন্য অপেক্ষা করুন এবং সংযোগ শুরু করুন।
আমি পূর্বে ফাইব্রোমায়ালগিয়াতে অটোইমুন রোগে ভুগছে এমন মহিলাদের জন্য আমি বেশ কয়েকটি গ্রুপের সদস্য ছিলাম। আমি এই গোষ্ঠীগুলির কাছ থেকে প্রাপ্ত সমর্থনটি সত্যই উপভোগ করেছি এবং এমনকি এই সম্প্রদায়গুলি থেকে কয়েকজন বন্ধু তৈরি করেছি।
৩. নির্দিষ্ট ফেসবুক বন্ধুদের কাছ থেকে বিরতি নিন
আপনি কি কখনও ফেসবুকে এমন কোনও বন্ধু পেয়েছিলেন যার সাথে আপনি কখনও কথা বলেন না, তবে কোনওভাবেই আপনার বন্ধুত্বের তালিকায় তাদের উপস্থিতি আপনাকে নিমজ্জিত করে?
ফেসবুক বুঝতে পারে যে প্রত্যেকের টাইমলাইনটি দেখতে মজাদার নয় এবং প্রত্যেকের পোস্ট উত্সাহিত এবং খুশি হয় না। এই সমস্যাটি মোকাবেলায় সংস্থাটি আমাদের একটি নির্দিষ্ট বন্ধুর কাছ থেকে এক মাসের জন্য বিরতি নিতে সহায়তা করার জন্য একটি বৈশিষ্ট্য চালু করেছে।
ফেসবুকে "30 দিনের জন্য বন্ধুর স্নুজ করুন" বৈশিষ্ট্যটি আপনাকে এক মাসের জন্য অস্থায়ীভাবে কোনও বন্ধুকে অনুসরণ করতে দেয়। বন্ধু আপনাকে জানতে পারবে না যে আপনি তাদেরকে অনুসরণ করা হয়নি, কারণ আপনি যখন এটি করেন তারা কোনও বিজ্ঞপ্তি পান না।
আপনি বন্ধুর প্রোফাইলে গিয়ে অবতার এবং চেকমার্ক সহ আইকনে ক্লিক করে আপনি যে কোনও সময় "স্নুজ" বন্ধ করতে পারেন। তারপরে আপনি খুব শীঘ্রই স্নুজ বন্ধ করতে এবং সেগুলি পুনরায় অনুসরণ করতে বিকল্পটি নির্বাচন করতে পারেন।
এই বৈশিষ্ট্যটি আপনাকে এমন কোনও বন্ধুর কাছ থেকে বিরতি নিতে দেয় যা নেতিবাচক বা হতাশাজনক বিষয়বস্তু পোস্ট করছে, ব্রেকআপের পরে প্রাক্তন থেকে শ্বাস ফেলা, বা ফেসবুকে অতিরিক্ত পোস্ট করা এমন ব্যক্তির থেকে কিছুটা সময় দূরে।
30 দিনের জন্য কোনও বন্ধুকে অনুসরণ করা:
- যখন তারা আপনার নিউজফিডে উপস্থিত হবে, তাদের পোস্টের উপরের ডানদিকে তিনটি বিন্দুতে ক্লিক করুন এবং "স্নুজ করুন – 30 দিনের জন্য" নির্বাচন করুন।
- আপনি সমস্যাযুক্ত বন্ধুটিকে তাদের প্রোফাইল থেকে স্নুজ করতে পারেন। অনুসন্ধান বারে তাদের অনুসন্ধান করুন এবং চেকমার্ক সহ অবতারে ক্লিক করুন, তারপরে "বিরতি নিন" নির্বাচন করুন।
- আপনি দেখতে চান না এমন কাউকে না দেখে এখন আপনি নিজের নিউজফিডে স্ক্রোল করতে পারেন। এই বৈশিষ্ট্যটি এক মাস পরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে চালু হয় এবং বন্ধুটিকে পুনরায় অনুসরণ করে, সুতরাং 30 দিনের পরে, আপনি সেই বন্ধুদের পোস্টগুলি আবার দেখতে পাবেন।
৪. ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে সঙ্কট সহায়তা সরবরাহ করা
কখনও কখনও, বন্ধু এবং থেরাপিস্টদের সাথে কথা বলার জন্য উপলব্ধ হয় না। হতাশায় ভুগছেন এমন লোকদের জন্য কিছু কঠিন সময় মধ্যরাতে বা ছুটির দিনে যখন অনেক ক্লিনিশিয়ান অফিস বন্ধ থাকে এবং বন্ধুরা ঘুমোতে বা ব্যস্ত থাকে।
ফেসবুক আপনাকে এমন কোনও ব্যক্তির সাথে 24/7 চ্যাট করার জন্য একটি বিকল্প যুক্ত করে লোকদের সহায়তার জন্য কয়েকটি বিশিষ্ট সংস্থার সাথে অংশীদার করেছে যারা কষ্টের সময় শুনতে এবং সহায়তা করতে পারে।
এই নতুন বৈশিষ্ট্যে যে সংস্থাগুলি অংশ নিচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছে: জাতীয় খাদ্যাভ্যাস ডিসঅর্ডার অ্যাসোসিয়েশন, ক্রাইসিস টেক্সট লাইন, ড্রাগ-মুক্ত বাচ্চাদের অংশীদারিত্ব এবং জাতীয় আত্মহত্যা প্রতিরোধ লাইফলাইন।
অনুসন্ধান বারে এই সংস্থাগুলি সন্ধান করে, আপনি যেটির সাথে সংযোগ করতে চান তার উপর ক্লিক করে এবং তাদের পৃষ্ঠায় নীল "বার্তা" বোতামটি নির্বাচন করে আপনি এই বৈশিষ্ট্যটি সংকট পরামর্শদাতার সাথে সংযুক্ত করতে ব্যবহার করতে পারেন।
৫. আত্মহত্যা প্রতিরোধের সরঞ্জাম উপলব্ধ
আমাদের সমাজে আত্মহত্যার হার ক্রমাগত বাড়ছে এবং ফেসবুক এটিকে স্বীকৃতি দেয়। 10 বছরেরও বেশি সময় ধরে, সোশ্যাল নেটওয়ার্কটিতে এর সহায়তা কেন্দ্রে বেশ কয়েকটি আত্মহত্যা প্রতিরোধের সরঞ্জাম উপলব্ধ রয়েছে।
সুইসাইড হেল্পলাইনের জন্য পরিচিতিগুলি থেকে, খাদ্যের ব্যাধিগুলিতে সাহায্যের জন্য তথ্যের সাথে যোগাযোগ করতে, আপনার যদি সাহায্যের প্রয়োজন হয় তবে আপনার জন্য ফেসবুকের বিভিন্ন বিকল্প রয়েছে।
ফেসবুক তার সহায়তা কেন্দ্রে স্ব-যত্ন পরামর্শের পাশাপাশি আপনার কোনও খারাপ দিন যদি কাটাচ্ছে তবে নিজেকে বিভ্রান্ত করার উপায়গুলির একটি তালিকা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
এই সরঞ্জামগুলি অ্যাক্সেস করতে:
- ফেসবুক সহায়তা কেন্দ্রে যান এবং "আত্মহত্যা প্রতিরোধ" বা অনুরূপ শব্দটি টাইপ করুন।
- আপনার প্রয়োজনগুলিকে সর্বোত্তমভাবে বর্ণনা করে এমন বাক্যাংশটি নির্বাচন করুন। আপনি কোন বাক্যাংশটি নির্বাচন করেন সে অনুযায়ী তথ্য প্রদর্শিত হবে।
একটি ক্রমবর্ধমান সমস্যার জন্য সহায়ক সমাধান
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা ও ভয়েস মার্ক জুকারবার্গ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মানসিক স্বাস্থ্যের উপর যে প্রভাব ফেলতে পারে সে সম্পর্কে খোলামেলা কথা বলেছেন।
তিনি স্বীকার করেছেন যে তার পণ্যটি কিছু ব্যবহারকারীর কাছে বিষাক্ত হতে পারে। যেহেতু তিনি এই সমস্যাটি স্বীকার করেছেন, তিনি তাদের সঙ্কটের সময়ে লোকদের সহায়তা করার পদক্ষেপ নিয়েছেন।
যদিও এই বৈশিষ্ট্যগুলি খুব সহায়ক, কখনও কখনও আপনার কাছে কোনও সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ্লিকেশন সরবরাহ করতে পারে তার চেয়ে বেশি সহায়তার প্রয়োজন হতে পারে। সুতরাং, যদি আপনি হতাশা বা উদ্বেগের লক্ষণগুলির মুখোমুখি হন তবে দয়া করে আপনার প্রাথমিক সুবিধায় কোনও ডাক্তারকে দেখুন, 911 ডায়াল করুন বা সহায়তার জন্য আপনার স্থানীয় হাসপাতালে যান।
চিত্র ক্রেডিট: অ্যান্টনি ট্রান / আনস্প্ল্যাশ
